সুবাহ ইলিয়াসকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে নাকি সুবাহকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে ইলিয়াস। কে সত্য বলছে, আর কে গল্প বানাচ্ছে তাই নিয়েই চলছে আলোচনা। বিয়ের একমাসের মাথায় তাদের একে অপরের দিকে কাদা-ছোড়াছুড়িই এখন ঢালিউডের চর্চিত বিষয়।

সুবাহর প্রথম বিয়ে হলেও ইলিয়াসের তৃতীয় বিয়ে। জানা যায়, ইলিয়াস তার দ্বিতীয় স্ত্রী করিন নাজকে ডিভোর্স না দিয়েই সুবাহকে বিয়ে করেছেন। প্রথম দিকে ইলিয়াস ও সুবাহ দু’জনেই করিনকে দোষারোপ করেন।

তবে পরক্ষণে তারা দু’জনেই হয়ে ওঠেন একে-অপরের প্রতিপক্ষ। ইলিয়াস অভিযোগ তোলেন, সুবাহ তাকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছেন। এমনকি বিয়ের পর তার গায়েও নাকি হাত তুলেছেন। অন্যদিকে সুবাহর অভিযোগ, ইলিয়াস তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন। এসব তথ্য তারা দুজনই সংবাদ সম্মেলনে দিয়েছেন।

এসব অভিযোগ,পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই সুবাহর বাসা থেকে চলে যান ইলিয়াস। এরপর থানায় গিয়ে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সুবাহ। ৩ জানুয়ারি মামলাটি দায়েরের পর আদালত আগামী ১৯ জানুয়ারি এর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে ইলিয়াস দুবাই এ অবস্থান করছেন। সেখানে থেকে তিনি দেশের একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন।

সেখানে ইলিয়াস মামলা সম্পর্কে বলেন, মিথ্যা বেশি দিন টেকে না, সুবাহর করা মামলাটি পুরোপুরি মিথ্যা, সাজানো এবং ভিত্তিহীন, মামলার এজাহারটি পড়লে যে কেউ বুঝবে, এটি যে আমাকে মিথ্যা হয়রানি করার জন্যই করা। সুতরাং এই মিথ্যাও বেশি দিন টিকবে না। মাসখানেক পর দেশে ফিরলে আমিও অবশ্যই আইনি লড়াই করবো। এ লায়ার ক্যান নেভার উইন। তার একমাত্র হাতিয়ার মিথ্যা কথা বলে কান্নার অভিনয় করা।

ইলিয়াস আরও বলেন, এটা তার ব্যবসা, মানুষকে ফাঁসানো। তার দ্বারা কারও সাথে সংসার সম্ভব না! কারণ সে বহু পুরুষে আসক্ত। বিশ্বাস নাহলে তার টেস্ট করা হোক।

চ্যালেঞ্জ দিলাম ২০-৩০ জন পুরুষের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে। সে আলোচনায় থাকতে চায়, যেকোনো মূল্যে সেটার জন্য যত নিচে নামার দরকার সে নামবে তাতে তার ন্যূনতম লজ্জা কাজ করবে না। আগেই বললাম মিথ্যা কান্নার অভিনয়টাই তার মূল অস্ত্র। শ্রেষ্ঠ মিথ্যা কান্নার জন্য অ্যাওয়ার্ড থাকলে নিঃসন্দেহে সে পেত। তার বাসায় বহু পুরুষের আনাগোনা। যতই অভিনয় করুক মিথ্যার চেয়ে সত্যি অনেক শক্তিশালী।